সাধারণ ভাবে লটারি কাটা দুভাবে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে সেটার জন্য কী নিয়ম চলে দেখে ফেলুন।
পশ্চিমবঙ্গে অনলাইন লটারি নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি থাকে, কারণ সরকার এখানে বেশ কড়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমি স্পষ্ট করে দিচ্ছি—
🔹 পশ্চিমবঙ্গে অনলাইন লটারির নিয়ম ও অবস্থা
১. ২০১০–২০১১ সালের সংশোধিত আইন
পশ্চিমবঙ্গ সরকার West Bengal State Lottery Rules সংশোধন করে।
উদ্দেশ্য ছিল:
অবৈধ অনলাইন লটারি বন্ধ করা।
প্রতিটি সরকারি অনুমোদিত ড্র-এর জন্য নির্দিষ্ট ফি ধার্য করা।
বিশেষ (bumper) ড্র-এর জন্য অনেক বেশি ফি ধার্য করা।
👉 ফলে, সরকার অনুমোদিত অফিশিয়াল অফলাইন লটারি চালু থাকলেও, প্রাইভেট বা অবৈধ অনলাইন লটারি কার্যত নিষিদ্ধ।
২. সরকারি অবস্থান
পশ্চিমবঙ্গে সরকার অনুমোদিত অফলাইন লটারি বৈধ, কিন্তু
সরাসরি অনলাইন টিকেট কেনা বা বিদেশি অনলাইন লটারিতে অংশ নেওয়া আইনত বৈধ নয়।
সরকার বলছে, এসবের মাধ্যমে সহজে কর ফাঁকি ও প্রতারণা হয়, তাই নিয়ন্ত্রণ রাখা দরকার।
৩. Kolkata FF (Fatafat)
এটিকে অনেক সময় “অনলাইন” বলা হলেও, আসলে এটি অনুমোদিত বুকির মাধ্যমে খেলা হয়,
প্রতিদিন ৮ বার ফল প্রকাশ হয়, তবে এটি রাষ্ট্রীয় সরকারি লটারির মতো নয়।
মূলত “বেটিং-স্টাইল লটারি”, যা জনপ্রিয় হলেও—
👉 সরাসরি সরকারি লটারির মতো নিরাপদ বা অফিশিয়াল নয়।
৪. বাইরের অনলাইন লটারি সাইট
কিছু আন্তর্জাতিক লটারি ওয়েবসাইট (যেমন Lotto247, TheLotter) থেকে ভারতীয়রা অনলাইনে টিকেট কিনতে পারে।
তবে এগুলো ভারতের আইন দ্বারা স্পষ্টভাবে বৈধ ঘোষণা করা হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার এগুলো স্বীকৃতি দেয় না, ফলে ঝুঁকি থেকেই যায়।
✅ সারসংক্ষেপ
অফলাইন সরকারি লটারি (যেমন: Dear Lottery, Sambad ইত্যাদি) = বৈধ।
পশ্চিমবঙ্গে সরাসরি অনলাইন লটারি কেনা = সরকার সমর্থন করে না, কার্যত বিরোধী অবস্থান।
আন্তর্জাতিক অনলাইন লটারি ওয়েবসাইট = ব্যবহার করা যায়, তবে এগুলো রাজ্য সরকারের অনুমোদিত নয়, তাই আইনি ঝুঁকি ও প্রতারণার আশঙ্কা থাকে।